অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার নিয়ম

new nid card registration online: অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে করা যায়, অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে কি ধরনের কাগজপ্রত্র প্রয়োজন হয়। সাধারণত, নতুন ভোটাররে জন্য ২/১ বছর পর পর নিবন্ধন শুরু হয় এনাউন্সমেন্ট করে, এলাকার সকল নতুন ভোটাদের তথ্য নিবন্ধন করা হয় যা আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশন করে থাকে। কিন্তু এটি সারাবছর এনাউন্সমেন্ট করে নতুন ভোটারদের নিবন্ধন করে না। তবে, আপনার উপজেলার নিবার্চন কমিশনের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। তাই, আজকের পোষ্টের মাধ্যমে জানবো নতুন ভোটার হতে হলে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন, বিস্তারিত নিম্নে রয়েছে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২২

নতুন ভোটার আইডি কার্ড আপনি দুই ভাবে করতে পারবেন ১. নির্বাচন অফিসে গিয়ে (অফলাইনে) ২. অনলাইনের মাধ্যমে, তাই আপনি যদি এখনো ভোটার না হয়ে থাকেন তাহলে, আমাদের দেওয়া পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার ভোটার আইর্ডি কার্ড করতে পারেন খুব সহজে। আজকের পোষ্টে আলোচনা করবো, উপোরোক্তের ভোটার আইডি আবেদনের ২টি মধ্যে কোনটি আপনার জন্য সহজতর হবে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

১. নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আবেদনঃ আপনার এলাকার ভোটার তথ্য সংরক্ষন ও নিবন্ধন করে, আপনার নির্বাচন কমিশন অফিস। নির্বাচন কমিশন অফিস নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য ২/১ বছর পর পর এন্টান্সমেন্ট করে এবং নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে আপনার তথ্য জমা দিতে হবে যা এলাকার সকল নতুন ভোটার একত্রে গিয়ে আবেদন করে থাকে। এছাড়াও, আমাদের ভিবিন্ন কারনে হঠাৎ ভোটার আইডি কার্ডের খুব প্রয়োজন পরে যেমনঃ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা বিভিন্ন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইদ্যাদি! নিতে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন পরে। তাই, খুব জরুরী প্রয়োজনে আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশনে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভোটার হোন, আপনার ভোটার আইডি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে ফোনে মেসেজ আসবে। মেসেজ পড়ে দেখতে পারবেন আপনার এন আইডি কার্ড নম্বর, ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করুন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন।

২. অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মঃ আপনি যদি এখনো ভোটার হয়ে না থাকেন এবং আপনার আঠারো বছর সম্পন্ন হলে, ঘরে বসেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য নিম্নের তথ্যগুলো সংগ্রহ করুন ও অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।

  • নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।
  • আবেদন করুন অপশনে প্রবেশ করুন
  • নতুন ইন্টারফেস আসবে নাম ইংরেজিতে, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরন করে Continue করুন।
  • নতুন ইন্টারফেস আসবে আপনার ফোন নম্বর সাবমিট করুন, ওটিপি পাঠানো হবে যা ভেরিভাই করতে হবে, ভেরিভাই সম্পন্ন হলে নতুন পেজে নিয়ে যাবে।
  • নতুন পেজে ইউজার নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। 
  • রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে Profile Details অপশন পাবেন, Profile Details অপশনে প্রবেশ করুন।
  • Profile Details অপশনে প্রবেশ করার পর ৩ টি স্টেপ অতিক্রম করতে হবে 1. personal information 2. identification information 3. address  এই ৩টি অপশনের ফরম ফিলাপ করুন, আশাকরি ফরমে লেখা ডিটেইল গুলো আপনিই দিতে পারবেন। 
  1. personal information: পারসোনাল  ইনফরমেশন অপশনটিতে আপনার নাম বাংলাং, ইংরেজিতে ও পিতা/মাতার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ইত্যাদি! তবে ফরমে (*) দেওয়া অপশনটি পূরন করা বাধ্যতামূলক।
  2. identification: এই পেজটিতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, টিন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ধর্ম ইত্যাদি! তবে, ফরমে (*) দেওয়া অপশনটি পূরন করা বাধ্যতামূলক।
  3. address: এই পেজটিতে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ‍দিতে হবে, যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা এক হয়ে থাকে তাহলে সেইম দিয়ে দিবেন, পরবর্তী পেজে যেতে হবে, Document পেজ আসবে পরবর্তী পেজে যান কারন অনলাইনে ভোটার হবার জন্য ডকুমেন্ট আপলোড করা লাগে না। নতুন পেজে সাবমিট/কনফার্ম পেজ আসবে আপনার ভোটার তথ্য তো আগেই দেখে নিয়েছেন, তাই সাবমিট করুন দেখতে পাবেন  ”you have pending application” এরপর আপনার নতুন ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড করে একটি প্রিন্ট করুন। application কপিতে আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে, তবে জমা দেওয়ার পূর্বে সকল তথ্য যাচাই করে নিন কোন তথ্য ভুল রয়েছে কিনা।

নতুন এনআইডি (NID) করতে যা যা লাগবে

NID করতে যা যা লাগবেঃ অনলাইনে ভোটার আবেদন ফরম যাচাই সম্পন্ন হলে,শনাক্তকারী তথ্য যায়গাতে আপনার এলাকার কমিশনার/মেম্বারের ভোটার তথ্য ও স্বাক্ষর দিতে হবে। আপনার নিজের স্বাক্ষর ও আপনার পরিবারের বাবা/মায়ের স্বাক্ষর দিয়ে আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিন পরবর্তীতে আপনার ছবি ও ফিংগার প্রিন্ট নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ফোন করা হবে। তবে, এনআইডি/NID করতে আপনার ফরমের যাথে কিছু ডকুমেন্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে, তাই অনলাইনে ভোটার হবার জন্য উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যে সকল ফটো কপি জমা দিতে হবে তা নিম্নরূপেঃ

1) স্কুল সা সার্টিফিকেট / জন্মসনদ
2) ডিজিটাল বাংলা  জন্ম সনদ 
3) পিতার ভোটার আইডি কার্ড
4) স্বামীর ভোটার আইডি কার্ড ( if married)
5) কাবিন নামা ( If married)
6) চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
7) Holding Tax Slip
8) Electricity Bill copy

[button color=”primary” size=”small” link=”http://www.ecs.gov.bd/bec/public/files/1/reg%20Form.PDF” icon=”” target=”false” nofollow=”true”]নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম পিডিএফ[/button]

ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করে, উপোরোক্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও ভোটার আবেদন ফরম একসঙ্গে আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিন, কিছু দিনের ভিতরে আপনাকে ডাকা হবে। ছবি, ফিংগার প্রিন্ট দেবার জন্য তারপর, আপনার ভোটার আইডি প্রস্তুত হলে আপনার ফোনে মেসেজ আসবে, মেসেজ আসলেই আপনার পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন করা একাউন্টে প্রবেশ করুন। অথবা মোবাইলে মেসেজ আসা এনআইডি নম্বর দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। আশাকরি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম আজকের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ!

0Shares

Leave a Comment